আপনার কিছু ভুলের কারনে রান্নার গ্যাস তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় ! ভুলগুলো দেখুন গ্যাস ও অর্থ দুই সাশ্রয় করুন

পরিবার ছোট হোক বা বড়, রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস খরচ হয়েই থাকে । আর সেই রান্নার গ্যাসের জন্য বরাদ্দ গুণতে হচ্ছে বেশ মোটা টাকা । তবে কিছু সময় আমাদের অসাবধানতার কারনে রান্নার গ্যাস তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় । কিন্তু অতিসাধারণ কিছু বিষয় আছে, যা লক্ষ্য রাখলে কম গ্যাস খরচ করেও রান্না করা যাবে ।
 


১. ঢাকা না-দিয়ে রান্না করলে গ্যাস তিনগুণ বেশি ব্যয় হয়। তাই খাবার ঢেকে রান্না করুন।
 
২. রান্নার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী জল ঢালুন। বেশি জল ঢালার অর্থ হল, জল পোড়ানোর জন্য অধিক গ্যাস খরচ। এ ছাড়াও অনেক বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে শাক-সবজির পুষ্টিকর উপাদানগুলিও নষ্ট হয়ে যায়।

৩. রান্নার জন্য সঠিক সাইজের প্যান বা কড়াই ব্যবহার করা উচিত। ছোট সাইজের প্যান বা কড়াইয়ে রান্নার ফলে আঁচ বাইরে বেরিয়ে যায়। আবার বড় প্যান বা কড়াই ব্যবহার করলে, তা গরম হতে সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে বড় কড়াইয়ে রান্নার জন্য বেশি গ্যাস ব্যয় হয়।

৪. মাছ, মাংস বা সবজি গ্রিল করার জন্য গ্যাস ব্যবহার করলেও তা অধিক খরচ হতে পারে। তাই কোনও খাবার গ্রিল করার জন্য টোস্টার বা ওভেন ব্যবহার করুন।
 
৫. মাঝারি আঁচে রান্না করুন। কারণ বেশি আঁচে রান্না করলে খাবার পুড়ো যাওয়ার ভয় থাকে। আবার খুব কম আঁচে রান্না করলে বেশি গ্যাস ব্যয় হয়।
 
৬. রান্না শুরুর আগে প্রয়োজনীয় সামগ্রী একত্রিত করে নিন। এর ফলে সময় এবং গ্যাস দুই-ই বাঁচবে।

৭. বার্নার নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বার্নার থেকে হলুদ শিখা বেরোলে বুঝতে হবে যে, তা পরিষ্কার করার সময় এসে গিয়েছে।

৮. নির্দিষ্ট সময় অন্তর রেগুলেটার, পাইপ ও বার্নার চেক করবেন। লক্ষ্য রাখুন গ্যাস লিক হচ্ছে কী না।

৯. বার বার জল গরম করলে বা চা বানালেও গ্যাস বেশি খরচ হয়। তাই একবার বেশি করে জল গরম করে ফ্লাস্কে ভরে রেখে দিন।

১০. গ্যাস লিকের গন্ধ পেলে শীঘ্র মেরামত করিয়ে নিন। ততক্ষণ দুর্ঘটনা আটকানোর জন্য এবং অপচয় রোধ করার জন্য মেন সুইচ অফ করে দিন।

১১. নিয়মিত গ্যাসের সার্ভিসিং করান।

১২. সবজি, ডাল ও মাংস সেদ্ধ করতে অধিক গ্যাস খরচ হয়। মাংসকে মাইক্রোওয়েভে সেমি কুক করুন । গ্যাসের তুলনায় মাইক্রোওয়েভে তাড়াতাড়ি মাংস রান্না হয়।

১৩. ফ্রিজে রাখা দুধ গরম করার ১-২ ঘণ্টা আগে বাইরে বার করে রেখে নিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে গরম করুন। আবার ফ্রিজে রাখা সবজি, ফ্রোজেন ফুডও রান্না করার ১-২ ঘণ্টা আগে বার করে রাখুন। রুম টেম্পারেচারে এসে গেলে রান্না করুন, গ্যাস সাশ্রয় হবে।

১৪. কড়াই বা প্যানে রান্না করার পরিবর্তে প্রেশার কুকারে রান্না করুন। কারণে কুকারে তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় এবং গ্যাস খরচ হয় কম।

১৫. শীতকালে স্নানের জন্য একাধিক বার জল গরম করতে হয়। অনেকেই গ্যাসে জল গরম করতেন। এখন বাজারে সহজেই ইলেকট্রিক হিটার, সোলার ওয়াটার হিটার পাওয়া যায়। তবে ইলেকট্রিক ওয়াটার হিটারের পরিবর্তে সোলার ওয়াটার হিটার ব্যবহার করুন।


 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url